বিদ্যালয়টি ১৯২৯ইং সনে প্রতিষ্ঠিত অত্র বালাগঞ্জ উপজেলার একটি সুপ্রাচীন বিদ্যাপিঠ। বর্তমানে বিদ্যা-লয়ে প্রায় ৮০০ মতো শিক্ষার্থী রয়েছে এবং প্রতি বছর এস এস সি ও জি এস সি পরীক্ষায় উপজেলা মধ্যে ১ম ক্যাটাগরিতে স্থান করে আছে।৬ষ্ঠ,৭ম ও ৮ম শ্রেণীতে দুটি করে শাখা আছে। ৯ম ও ১০ম শ্রেণীতেও শাখা খোলা আবশ্যক কিন্ত সরকারি অনুমোদনের অসুবিধায় তা সম্বভ হচ্ছে না। চারটি দ্বিতল ভবন তন্মধ্যে পর্যাপ্ত শ্রেণী কক্ষ, লাইব্রেরী, অফিস কক্ষ, বিশাল হলরুম বিদ্যমান আছে। এছাড়া দুইটি নলকহপ,৬টি শৌচা-গার, ১টি ল্যাবরোটরি,৪টি কম্পিউটার সহ আধুনিক অবকাঠামো বিরাজমান আছে। মেয়েদের জন্য একটা বিশাল নামাজ গৃহ ,নিজস্ব টেলিফোন ও বৈদ্যুতিক সুযোগ সুবিধাও বিদ্যমান আছে।
১৯২৯ইং সনে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যাপিঠটি ১৯৬১ ইং সনে জুনিওর বিদ্যালয় হিসেবে,১৯৭৪ইং সনে (মানবিক বিভাগের অনুমতি সাপেক্ষ)উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে আত্ম প্রকাশ করে। ১৯৭৭ইং সনে বিজ্ঞান শাখাও অর্ন্তভুক্ত হয়। বিদ্যালয়াটি ঐতিহাসিক ভাবে শিক্ষা বিস্তারে বিরাট ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের অনেক স্বনাম ধন্য ব্যক্তি এ বিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্র।
৬ষ্ঠ | ৭ম | ৮ম | ৯ম | ১০ম | মোট |
১৭০ | ১৮২ | ১২৯ | ১৩০ | ১০৮ | ৭১৯ |
বর্তমান পরিচালনা কমিটির তথ্যঃ-
ক্রমিনং | নাম | পদবী (প্রবিধানের ক্রমানুসারে) |
জনাব,ইয়াকুতুল গনি ওসমানী (টিটু) | সভাপতি | |
জনাব, মৃদুল কান্ত দে | সাধারণ শিক্ষক সদস্য | |
জনাব, মিজানুর রহমান চৌধুরী | সাধারণ শিক্ষক সদস্য | |
জনাব, মোঃ উমর আলী | অভিভাবক সদস্য | |
জনাব, আবুল কালাম আজাদ | অভিভাবক সদস্য | |
জনাব, কাজী মোঃ ছাদ উদ্দিন | অভিভাবক সদস্য | |
জনাব, মোঃ বেলালুজ্জামন | অভিভাবক সদস্য(প্রয়াত) | |
জনাব, রাশিদা আহমদ | সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য | |
জনাব, আব্দুর রব | দাতা সদস্য | |
জনাব, হাজী মোঃ আলা উদ্দিন | শিক্ষানুরাগী সদস্য | |
প্রধান শিক্ষক | সদস্য সচিব (ভার প্রাপ্ত) |
সন | পরীক্ষার্থীর সংখ্যা | কৃতকার্যের সংখ্যা | পাশের হার |
২০০৭ | ৫৪ | ১০ | ১৯% |
২০০৮ | ৫০ | ২৬ | ৫২% |
২০০৯ | ৬০ | ৫২ | ৮৭% |
২০১০ | ৫৬ | ৪৭ | ৮৪% |
২০১১ | ১০১ | ৮৩ | ৮২% |
২০১২ | ১০০ | ৮৭ | ৯৩% |
২০১৩ | ১২০ | ১০০ | ৯৮% |
২০১৪ | ১২০ | ৯৮ | ৯৫% |
২০১৫ | ১৮০ | ১৪০ | ৯৭% |
২০১৬ | ১২০ | ৯৭ | ৯২% |
বিদ্যালয়ে চলতি ২০১২ইং সালে ৩৪ জন ছাত্র ও ১১০ জন ছাত্রী মোট ১৪৪জন ছাত্র/ছাত্রী উপবৃত্তির অর্ন্তভুক্ত।
অর্জনঃ- বিদ্যালয়টি স্কাউট শিক্ষায় উপজেলার মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে আছে। প্রতি বছর বিদ্যালয়ের নিজস্ব স্কাউট দল উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করে প্রতিনিয়ত যথেষ্ট সুনাম অর্জন কনে আসছে। ২০০৩ ইং সালে এ বিদ্যালয় হতে একজন শিক্ষক উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি প্রাপ্ত হন। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকার খেলাধুলা অংশ গ্রহন করে প্রতি নিয়ত বিদ্যালয়টি নানারুপে পুরষ্কার প্রাপ্ত হচ্ছে।
জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় আগামীতে আরোও অধিকতর গুনগত সংখ্যাগত ফলাফল অর্জনে সহায়তা পাওয়ার নিমিত্ত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নেয়া হই- তেছে। প্রতিটি শাখায়ার জন্য অবকাঠামো অনুযায়ী পর্যাপ্ত শিক্ষকের চলমান প্রচেষ্টা সফল হইলে অচিরেই পাশের হার সংখ্যাগত ও গুনগত মান বৃদ্ধির দৃঢ় প্রচেষ্টা চালাইতেছি।
বিদ্যালয়টি ঢাকা - সিলেট মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্বে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে দয়ামীর বাজার সংলগ্ন জেলা শহর হতে মাত্র ২০ কিঃ মিঃ দুরত্বে অবস্থান করায় যাতায়াত, যোগাযোগ, বিদ্যুত,টেলিফোন সুবিধা সহ আধু-নিক সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান আছে।
অত্র বিদ্যালয় হতে ২০১০ ইং সনে ০৪ জন ছাত্র জুনিওর বৃত্তি প্রাপ্ত ও অধ্যয়ন রত ছাত্র ছাত্রীদেও মধ্যে আরোও ১৩ জন সহ মোট ১৭ জন শিক্ষার্থী সরকারি বৃত্তি পাইয়া যাইতেছে।এছাড়াও ২০১০ইং সালের এসএসসি পরীক্ষায় ০৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫.০০ প্রাপ্ত হয়। অবশিষ্টরা সুনামের সহিত পাশ করে মোট ৮৪%ছাত্র/ ছাত্রী পাস করেছে এবং ২০১১ইং সনে পাশের হার ছিল ৮৩%।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস